Bible 2 India Mobile
[VER] : [BENGALI]     [PL]  [PB] 
 <<  Mark 9 >> 

1আর তিনি তাদের বললেন, আমি তোমাদেরকে সত্যি কথা বলছি , যারা এখানে দাঁড়িয়ে আছে, তাদের মধ্য কয়েক জন আছে, যারা কোন মতে মৃত্যুর স্বাদ পাবেনা, যে পর্যন্ত্য ঈশ্বরের রাজ্য পরাক্রমের সঙ্গে আসতে না দেখে।

2ছয় দিন পরে যীশু কেবল পিতর, যাকোব ও যোহনকে সঙ্গে করে চোখের আড়ালে এক উঁচু পর্ব্বতে নিয়ে গেলেন, আর তিনি তাদের সামনে চেহারা পাল্টালেন ।

3আর তাঁর জামাকাপড় চকচকে এবং অনেক বেশী সাদা হলো, পৃথিবীর কোন ধোপা সেইরকম সাদা করতে পারে না।

4আর এলিয় ও মোশি তাদেরকে দেখা দিলেন; তারা যীশুর সঙ্গে কথা বলতে লাগলেন।

5তখন পিতর যীশুকে বললেন, গুরু, এখানে আমাদের থাকা ভাল; আমরা তিনটী কুটীর তৈরী করি, একটা আপনার জন্য, একটা মোশির জন্য, এবং একটা এলিয়ের জন্য।

6কারণ কি বলতে হবে, তা তিনি বুঝলেন না, কারণ তারা খুব ভয় পেয়েছিল।

7পরে একটা মেঘ হাজির হয়ে তাদেরকে ছায়া করলো; আর সেই মেঘ থেকে এই বাণী হল, ‘ইনি আমার প্রিয় সন্তান, এনার কথা শোন ।’

8পরে হঠাৎ তাঁরা চারিদিক দেখলেন কিন্তু আর কাউকে দেখতে পেলেন না, কেবল একা যীশু তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন ।

9পর্ব্বত থেকে নেমে আসার সময় তিনি তাদেরকে কঠিন আদেশ দিয়ে বললেন, তোমরা যা যা দেখলে, তা কাউকে বলো না, যতক্ষণ না মৃতদের মধ্য থেকে মানবপুত্র জীবিত হন ।

10মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হওয়ার মানেটা কি এই বিষয় মৃতদের মধ্যে আলোচনা করতে লাগলো।

11পরে শিষ্যরা প্রভুকে জিজ্ঞাসা করলেন, ব্যবস্থা শিক্ষকেরা বলেন, প্রথমে এলিয়কে আসতে হবে ।

12প্রভু তাদেরকে বললেন, এলিয় প্রথমে এসে সবকিছু আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন আর মানবপুত্রের বিষয়ে কিভাবেই লেখা আছে যে, তাঁকে অনেক কষ্ট পেতে হবে ও লোকে তাঁকে ঘৃণা করবে।

13কিন্তু আমি তোমাদেরকে বলছি, এলিয়ের বিষয়ে যেরকম লেখা আছে, সেইভাবে তিনি এসে গেছেন এবং লোকেরা তাঁর উপর যা ইচ্ছা, তাই করেছে। যীশুর নানারকম কাজ ও শিক্ষা অনুসারে।

14পরে তাঁরা শিষ্যদের কাছে এসে দেখলেন, তাঁদের চারিদিকে অনেক লোক, আর ধর্ম শিক্ষকেরা তাঁদের সঙ্গে তর্ক করছে।

15তাঁকে দেখে সব লোক অনেক চমৎকৃত হলো ও তাঁর কাছে দৌড়ে গিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানালো।

16তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন কী বিষয়ে তোমরা তাদের সঙ্গে তর্ক বিতর্ক করছো।

17তাদের লোকদের মধ্যে এক জন উত্তর করলো, হে গুরুদেব, আমার ছেলেটিকে আপনার কাছে এনেছিলাম তাকে বোবা আত্মায় ধরেছে সে কথা বলতে পারছে না;

18সেই অপদেবতা যেখানে তাকে ধরে, সেখানে আছাড় মারে, আর তার মুখে ফেনা ওঠে এবং সে দাঁত কিড়মিড় করে, আর শক্ত কাঠ হয়ে যায়; আমি আপনার শিষ্যদেরকে তা ছাড়াতে বলেছিলাম, কিন্তু তারা পারল না।

19যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, হে অবিশ্বাসীর বংশ, আমি কত দিন তোমাদের কাছে থাকবো? কত দিন ধৈর্য্য ধরবো? ছেলেটিকে আমার কাছে আন।

20শিষ্যরা ছেলেটিকে যীশুর কাছে আনলো তাঁকে দেখে সেই অপদেবতা ছেলেটিকে জোরে মুচড়িয়ে ধরলো, আর সে মাটিতে পড়ে গেলো এবং মুখ দিয়ে ফেনা বেরোতে লাগলো।

21তখন যীশু তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ছেলেটি কত দিন ধরে এই অসুখে ভুগছে ?

22ছেলেটির বাবা বললেন, ছোটোবেলা থেকে; এই আত্মা তাকে মেরে ফেলার জন্য অনেক বার আগুনে ও অনেক বার জলে ফেলে দিয়েছে; দয়া করে আপনি যদি ছেলেটিকে সুস্থ করতে পারেন, তবে আমাদের উপকার হয় ।

23যীশু তাকে বললেন, তোমার যদি বিশ্বাস থাকে তবে সবই হতে পারে।

24তখনই সেই ছেলেটির বাবা চিত্কার করে কেঁদে বলে উঠলেন ,আমি বিশ্বাস করি, আমাকে অবিশ্বাস করবেন না।

25পরে লোকেরা একসঙ্গে দৌড়ে আসছে দেখে যীশু সেই অপদেবতাকে ধমক দিয়ে বললেন, হে বোবা আত্মা, আমি তোমাকে আদেশ করছি, এই ছেলের শরীর থেকে বেরিয়ে যাও, আর কখনও এর শরীরের মধ্যে আসবে না।

26তখন সে চেঁচিয়ে তাকে খুব জোরে মুচড়িয়ে দিয়ে তার শরীর থেকে বেরিয়ে গেল; তাতে ছেলেটি মরার মতো হয়ে পড়ল, এমন কি বেশিরভাগ লোক বললো, সে মরে গেছে ।

27কিন্তু যীশু তার হাত ধরে তাকে তুললো ও সে উঠে দাঁড়ালো ।

28পরে যীশু ঘরে এলে তাঁর শিষ্যেরা গোপনে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমরা কেন সেই বোবা আত্মাকে ছাড়াতে পারলাম না?

29তিনি বললেন প্রার্থনা ছাড়া আর কোনো কিছুতেই এটা হওয়া অসম্ভব।

30সেই জায়গা থেকে যীশু গালীলের মধ্য দিয়ে চলে গেলেন, আর তাঁর ইচ্ছা ছিল না যে, কেউ তা জানতে পারে।

31কারণ তিনি নিজের শিষ্যদেরকে উপদেশ দিয়ে বলতেন, মানবপুত্রকে মানুষদের হাতে সমর্পণ করা হবে; তারা তাঁকে মেরে ফেলবে। কারণ তিনি মারা যাবার তিন দিন পর তিনি আবার বেঁচে উঠবেন।

32কিন্তু তারা সে কথা বুঝতে পারল না এবং যীশুকে কিছু জিজ্ঞাসা করতে শিষ্যরা ভয় পেল ।

33পরে যীশু এবং তাঁর শিষ্যরা কফরনাহূমে এলেন; আর ঘরের ভিতরে এসে তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, পথে তোমরা কোন বিষয়ে তর্কবিতর্ক করেছিলে ?

34শিষ্যরা চুপ করে থাকলো কারণ কে মহান? পথে নিজেদের ভিতরে এই বিষয়ে তর্ক করছিল।

35তখন যীশু বসে সেই বারো জনকে ডেকে বললেন, কেউ যদি প্রথম হতে ইচ্ছা করো, তবে সে সকলের শেষে থাকবে ও সকলের সেবক হতে হবে।

36পরে তিনি একটী শিশুকে নিয়ে তাদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে দিলেন এবং তাকে কোলে করে তাদেরকে বললেন ,

37যে আমার নামে এই রকম কোন শিশুকে গ্রহণ করে, সে আমাকেই গ্রহণ করে; আর যে আমাকে গ্রহণ করে, সে আমাকে না, কিন্তু যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁকেই গ্রহণ করে।

38যোহন তাঁকে বললেন, হে গুরুদেব, আমরা একজন লোককে আপনার নামে ভূত ছাড়াতে দেখেছিলাম, আর তাকে বারণ করেছিলাম, কারণ সে আমাদের অনুসরণ করে না।

39কিন্তু যীশু বললেন, তাকে বারণ করো না, কারণ এমন কেউ নেই যে, আমার নামে আশ্চর্য্য কাজ করে আমার বদনাম করতে পারে।

40কারণ যে আমাদের বিরুদ্ধে নয়, সে আমাদেরই পক্ষে ।

41যে কেউ তোমাদেরকে খ্রীষ্টের লোক মনে করে এক কাপ জল পান করতে দেয়, আমি তোমাদেরকে সত্যি বোলছি, সে কোনো ভাবে নিজের পুরস্কার হারাবে না।

42যে বালকেরা আমাকে বিশ্বাস করে, যদি কেউ তাদের বিশ্বাসে বাধা দেয়, তার গলায় বড় যাঁতা বেঁধে তাকে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া তার পক্ষে ভাল।

43তোমার হাত যদি অন্যায় করে, তবে তা কেটে ফেল;

44দুই হাত নিয়ে নরকের আগুনে পোড়ার থেকে, পঙ্গু হয়ে ভালোভাবে জীবন যাপন করা অনেক ভালো ।

45আর তোমার পা যদি তোমাকে বিপথে নিয়ে যায়, তবে তা কেটে ফেল; দুই পা নিয়ে নরকে যাওয়ার থেকে খোঁড়া হয়ে ভালোভাবে জীবন কাটানো অনেক ভালো।

46আর তোমার চোখ যদি অসুবিধা করে তবে তা তুলে ফেল;

47দুই চোখ নিয়ে নরকের না গিয়ে তার থেকে কানা হয়ে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করা অনেক ভালো ;

48নরকের পোকা যেমন মরে না, তেমন আগুনও কখনো নেভে না ।

49প্রত্যেক ব্যক্তিকে লবণযুক্ত নরকের আগুন পোড়ানো যাবে।

50লবণ সব জিনিসকে স্বাদযুক্ত করে কিন্তু, লবণ যদি তার নোনতা স্বাদ হারায়, তবে সেই লবণকে কিভাবে স্বাদযুক্ত করা যাবে? তোমরা লবণের মতো হও নিজেদের মনে ভালবাসা রাখো এবং নিজেরা শান্তিতে থাক।


  Share Facebook  |  Share Twitter

 <<  Mark 9 >> 


Bible2india.com
© 2010-2024
Help
Dual Panel

Laporan Masalah/Saran