1ঈশ্বর অতীতে নানাভাবে ও অনেকবার ভাববাদীদের মাধ্যমে আমাদের পিতৃপুরুষদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন|
2আর এই সময়ে ঈশ্বর পুত্রের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তিনি তাঁর পুত্রকেই সব কিছুর উত্তরাধিকারী করেছেন, এবং তাঁর মাধ্যমে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন|
3তাঁর পুত্রই হল তাঁর মহিমার প্রকাশ ও সারমর্মের চরিত্র, এবং নিজের ক্ষমতার বাক্যের মাধ্যমে সবকিছু বজায় রেখেছেন| পরে তিনি সব পাপ পরিষ্কার করেছেন, তিনি স্বর্গে ঈশ্বরের মহিমার ডান দিকে বসলেন|
4তিনি স্বর্গদূতদের থেকে শ্রেষ্ঠ, তেমনি তাঁদের নামের থেকে তিনি আরো মহান|
5কারণ ঈশ্বর ঐ দূতদের মধ্যে কাকে কোন্ সময়ে বলেছেন, “তুমি আমার পুত্র, আমি আজ তোমার পিতা হয়েছি,” আবার, “আমি তাঁর পিতা হব, এবং তিনি আমার পুত্র হবেন”?
6পুনরায়, যখন ঈশ্বর প্রথমজাতকে পৃথিবীতে আনেন, তখন বলেন, “ঈশ্বরের সব স্বর্গদূত তাঁর উপাসনা করুক|”
7আর স্বর্গীয়দূতের বিষয়ে ঈশ্বর বলেন,“ঈশ্বর নিজের দূতদেরকে তৈরী করে, নিজের সেবকদেরকে আগুনের শিখার মত করে|”
8কিন্তু পুত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, “হে ঈশ্বর, তোমার সিংহাসন চিরকালস্থায়ী; আর সত্যের শাসনদন্ডই তাঁর রাজ্যের শাসনদন্ড|
9তুমি ন্যায়কে ভালবেসেছ, ও অন্যায়কে ঘৃণা করেছ; এই কারণ ঈশ্বর, তোমার ঈশ্বর, তোমাকে অভিষিক্ত করেছেন, তোমার সঙ্গীদের থেকে বেশি পরিমানে আনন্দিত করেছে। ”
10আর, “হে প্রভু, তুমিই আদিতে পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করেছ, স্বর্গও তোমার হাতের সৃষ্টি।
11তারা বিনষ্ট হবে, কিন্তু তুমিই নিত্যস্থায়ী; তারা সব পোশাকের মত পুরানো হয়ে যাবে,
12তুমি পোশাকের মত সে সব জড়াবে, পোশাকের মত জড়াবে, আর সে সবের পরিবর্তন হবে; কিন্তু তুমি যে, সেই আছ, এবং তোমার বছর সব কখনও শেষ হবে না|”
13কিন্তু ঈশ্বর দূতদের মধ্যে কাকে কোন্ সময়ে বলেছেন,“তুমি আমার ডান দিকে বস, যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদেরকে তোমার পদানত না করি”?
14সব দূতেরা কি সেবাকারী আত্মা না? যারা পরিত্রাণের অধিকারী হবে, ওরা কি তাদের পরিচর্য্যার জন্য প্রেরিত না?