Bible 2 India Mobile
[VER] : [BENGALI]     [PL]  [PB] 
 <<  Matthew 5 >> 

1তিনি প্রচুর লোক দেখে পর্বতে উঠলেন; আর তিনি বসার পর তাঁর শিষ্যেরা তাঁর কাছে এলেন।

2তখন তিনি মুখ খুলে তাদের এই শিক্ষা দিতে লাগলেন-

3ধন্য যারা আত্মাতে গরিব, কারণ স্বর্গ-রাজ্য তাদেরই।

4ধন্য যারা দুঃখ করে, কারণ তারা সান্ত্বনা পাবে।

5ধন্য যারা বিনয়ী, কারণ তারা দেশের অধিকারী হবে।

6ধন্য যারা ধার্মিকতার জন্য ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত, কারণ তারা পরিতৃপ্ত হবে।

7ধন্য যারা দয়াশীল, কারণ তারা দয়া পাবে।

8ধন্য তারা যাদের মন পরিশুদ্ধ, কারণ তারা ঈশ্বরের দর্শন পাবে।

9ধন্য যারা মিলন করে দেয়, কারণ তারা ঈশ্বরের পুত্র বলে পরিচিত হবে।

10ধন্য যারা ধার্মিকতার জন্য নির্যাতিত হয়েছে, কারণ স্বর্গ-রাজ্য তাদেরই।

11ধন্য তোমরা, যখন লোকে আমার জন্য তোমাদের নিন্দা ও নির্যাতন করে এবং মিথ্যা করে তোমাদের বিরুদ্ধে সর্বরকম খারাপ কথা বলে।

12আনন্দ করো, খুশি হও, কারণ স্বর্গে তোমাদের পুরস্কার প্রচুর; কারণ তোমাদের আগে যে ভাববাদিরা ছিলেন, তাদের তারা সেইভাবে নির্যাতন করত।

13তোমরা পৃথিবীর লবণ, কিন্তু লবণের স্বাদ যদি যায়, তবে তা কিভাবে লবণের গুনবিশিষ্ট করা যাবে ? তা আর কোনো কাজে লাগে না, কেবল বাইরে ফেলে দেবার ও লোকের পায়ের তলায় দলিত হবার যোগ্য হয়।

14তোমরা জগতের আলো; পর্ব্বতের উপরে অবস্থিত শহর গোপন থাকতে পারে না।

15আর লোকে প্রদীপ জ্বালিয়ে ঝুড়ির নীচে রাখে না, কিন্তু দীপাধারের উপরেই রাখে, তাতে তা ঘরের সব লোককে আলো দেয়।

16সেইভাবে তোমাদের আলো মানুষদের সামনে উজ্জ্বল হোক, যেন তারা তোমাদের ভালকাজ দেখে তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।

17মনে কর না যে, আমি আইন কি ভাববাদিগ্রন্থ ধ্বংস করতে এসেছি; আমি ধ্বংস করতে আসিনি, কিন্তু সম্পূর্ণ করতে এসেছি।

18কারণ আমি তোমাদের সত্য বলছি, যে পর্য্যন্ত আকাশ ও পৃথিবী লুপ্ত না হবে, সে পর্য্যন্ত আইনের এক মাত্রা কি এক বিন্দুও লুপ্ত হবে না, সবই সফল হবে।

19অতএব যে কেউ এই সব ছোট আদেশের মধ্যে কোন একটি আদেশ অমান্য করে ও লোকদেরকে সেইভাবে শিক্ষা দেয়, তাকে স্বর্গরাজ্যে অতি ছোট বলা যাবে; কিন্তু যে কেউ সে সব পালন করে ও শিক্ষা দেয়, তাকে স্বর্গ-রাজ্যে মহান বলা যাবে।

20কারণ আমি তোমাদের বলছি, ব্যবস্থার শিক্ষক ও ফরীশীদের থেকে তোমাদের ধার্মিক তা যদি বেশী না হয়, তবে তোমরা কোনো মতে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না।

21তোমরা শুনেছ, আগের কালের লোকদের কাছে বলা হয়েছিল, “তুমি নরহত্যা কর না,” আর ‘যে নরহত্যা করে, সে বিচারের দায়ে পড়বে’।

22কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ নিজের ভাইয়ের প্রতি রাগ করে, সে বিচারের দায়ে পড়বে; আর যে কেউ নিজের ভাইকে বলে, ‘রে বোকা,’ সে মহাসভার দায়ে পড়বে। আর যে কেউ বলে “রে মূর্খ” সে নরকের আগুনের দায়ে পড়বে।”

23অতএব তুমি যখন যজ্ঞবেদির কাছে নিজের নৈবেদ্য উৎসর্গ করছ, তখন সেই জায়গায় যদি মনে পড়ে যে, তোমার বিরুদ্ধে তোমার ভাইয়ের কোন কথা আছে,

24তবে সেই জায়গায় বেদির সামনে তোমার নৈবেদ্য রাখ, আর চলে যাও, প্রথমে তোমার ভাইয়ের সাথে আবার মিলিত হও, পরে এসে তোমার নৈবেদ্য উৎসর্গ কর।

25তুমি যখন বিপক্ষের সঙ্গে পথে থাক, তখন তার সাথে তাড়াতাড়ি মিল কর, যদি বিপক্ষ তোমাকে বিচারকের হাতে তুলে দেয় ও বিচারক তোমাকে রক্ষীর হাতে তুলে দেয়, আর তুমি কারাগারে বন্দী হও।

26আমি তোমাকে সত্য বলছি, যতক্ষণ না পর্য্যন্ত শেষ কড়িটা পরিশোধ না করবে, ততক্ষণ তুমি কোন মতে সেখান থেকে বাইরে আসতে পারবে না।

27তোমরা শুনেছ, বলা হয়েছিল,

28“তুমি ব্যভিচার করও না।” কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ কোনো স্ত্রীলোকের দিকে লালসাপূর্ণ ভাবে দেখে, সে তখনই মনে মনে তার সাথে ব্যভিচার করল।

29আর তোমার ডান চোখ যদি তোমায় পাপ করায়, তবে তা উপড়ে দূরে ফেলে দাও; কারণ তোমার সমস্ত শরীর নরকে যাওয়া চেয়ে বরং এক অঙ্গ নষ্ট হওয়া তোমার পক্ষে ভাল।

30আর তোমার ডান হাত যদি তোমাকে পাপ করায়, তবে তা কেটে দূরে ফেলে দাও; কারণ তোমার সমস্ত শরীর নরকে যাওয়ার চেয়ে বরং এক অঙ্গ নষ্ট হওয়া তোমার পক্ষে ভাল।

31আর বলা হয়েছিল, “যে কেউ নিজের স্ত্রীকে পরিত্যাগ করে, সে তাকে ত্যাগপত্র দিক।”

32কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ ব্যভিচার ছাড়া অন্য কারণে নিজের স্ত্রীকে পরিত্যাগ করে, সে তাকে ব্যাভিচারিনী করে; এবং যে ব্যক্তি সেই পরিত্যক্তা স্ত্রীকে বিবাহ করে, সে ব্যভিচার করে।

33আবার তোমরা শুনেছ, আগের কালের লোকদের কাছে বলা হয়েছিল, ‘তুমি মিথ্যা দিব্যি কর না, কিন্তু প্রভুর উদ্দেশ্যে তোমার সমস্ত প্রতিজ্ঞা পালন কর।’

34কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, কোন দিব্যিই কর না; স্বর্গের দিব্যি কর না, কারণ তা ঈশ্বরের সিংহাসন এবং পৃথিবীর দিব্যি কর না, কারণ তা তাঁর পা রাখার জায়গা;

35আর যিরুশালেমের দিব্যি কর না, কারণ তা মহান রাজার শহর।

36আর তোমার মাথার দিব্যি কর না, কারণ একগাছা চুল সাদা কি কালো করবার সাধ্য তোমার নেই।

37কিন্তু তোমাদের কথা হাঁ, হাঁ, না, না, হোক; এর বেশী যা, তা খারাপ থেকে জন্মায়।

38তোমরা শুনেছ বলা হয়েছিল, “চোখের বদলে চোখ ও দাঁতের বদলে দাঁত।”

39কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমরা দুষ্টু লোককে বাধা দিয়ো না; বরং যে কেউ তোমার ডান গালে চড় মারে, অন্য গাল তার দিকে ফিরিয়ে দাও ।

40আর যে তোমার সাথে বিচারের জায়গায় ঝগড়া করে তোমার পোষাক নিতে চায়, তাকে তোমার অন্তর্বাসও দিয়ে দাও।

41আর যে কেউ এক মাইল যেতে তোমাকে জোর করে, তার সঙ্গে দুই মাইল যাও।

42যে তোমার কাছে কিছু চায়, তাকে দাও এবং যে তোমার কাছে ধার চায়, তা থেকে বিমুখ হয়ো না।

43তোমরা শুনেছ, বলা হয়েছিল, “তোমার প্রতিবেশীকে প্রেম করবে, এবং তোমার শত্রুকে ঘৃণা করবে।”

44কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমরা নিজের নিজের শত্রুদেরকে ভালোবেসো এবং যারা তোমাদের ঘৃণা করে, তাদের জন্য প্রার্থনা কর;

45যেন তোমরা তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার সন্তান হও, কারণ তিনি ভাল মন্দ লোকদের উপরে নিজের সূর্য উদয় করেন এবং ধার্মিক অধার্মিক দের উপরে বৃষ্টি দেন।

46কারণ যারা তোমাদের ভালবাসে, তাদের ই প্রেম করলে তোমাদের কি পুরস্কার হবে ? কর আদায়কারিরাও কি সেই মত করে না ?

47আর তোমরা যদি কেবল নিজের নিজের ভাইদেরকে শুভেচ্ছা জানাও, তবে বেশী কি কাজ কর ? পরজাতীয়েরাও কি সেইভাবে করে না ?

48অতএব তোমাদের স্বর্গীয় পিতা যেমন সিদ্ধ, তোমরাও তেমনি সিদ্ধ হও।



 <<  Matthew 5 >> 


Bible2india.com
© 2010-2024
Help
Single Panel

Laporan Masalah/Saran